বর্তমান সময়ের আকর্ষণীয় একটি শিক্ষাবৃত্তি হচ্ছে 'ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ'। ইরাসমাস মুন্ডুস স্টুডেন্টস অ্যান্ড অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাউথ এশিয়ান চ্যাপ্টার বোর্ড-এর প্রেসিডেন্ট রামকৃষষ্ণ মজুমদারের লেখায় উঠে এসেছে প্রয়োজনীয় তথ্য
আমাদের দেশের তরুণ সমাজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের স্বপ্নকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়তই বাংলাদেশি তরুণদের নতুন নতুন সাফল্যের গল্প শুনতে পাই। আমাদের তরুণ সমাজের সাফল্যের পেছনে অন্যতম পাথেয় হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের তরুণদের কাছে এ উচ্চশিক্ষা অর্জনের অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি অর্জন করা। আধুনিক যুগে ইন্টারনেটের প্রসার ও বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চশিক্ষাগ্রহণে বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়াও আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। একটু সচেতনতার সঙ্গে সঠিকভাবে সময়ের ব্যবহার ও নিজেকে প্রস্তুত করতে পারলে খুব সহজেই বৃত্তি নিয়ে উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যাওয়া সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই শিক্ষাবৃত্তি আবেদনের প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই আবেদন করা যায়। এ জন্য প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহ করে এবং যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার।
বর্তমান সময়ের আকর্ষণীয় ও সম্মানজনক একটি শিক্ষাবৃত্তি হচ্ছে 'ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ'। ইউরোপীয় কমিশনের অধীনে প্রতি বছর উচ্চশিক্ষার্থে ইউরোপে পড়াশোনার জন্য এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপে আবেদন করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্যও আলাদাভাবে স্কলারশিপের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপে পড়তে যাচ্ছে। বিগত দশকে ৬০০-এর অধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে ইউরোপে তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছে। শুধু ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৮৯ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের অধীনে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে কোর্সভেদে ২০১৮ সালের জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইরাসমাস মুন্ডুস শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশে নিজের পছন্দসই বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এ শিক্ষাবৃত্তির অধীনে প্রায় ১৫০টির মতো বিষয়ে ২০০টিরও অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ও পিএইচডি) করার সুযোগ রয়েছে। ইরাসমাস স্কলারশিপের অধীনে প্রদানকৃত সুযোগ-সুবিধাও বেশ আকর্ষণীয়, টিউশন ফি, ভ্রমণ ভাতা, স্বাস্থ্য বীমার পাশাপাশি মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ শিক্ষাবৃত্তির অধীনে সব কোর্সই আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার আলোকে সাজানো ও যুগোপযোগী। এ ছাড়া এই স্কলারশিপের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, যে কোনো একটি মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি কোর্সে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যুগ্মভাবে ডিগ্রি দেওয়া হয়। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের তাদের অধ্যয়নকালে বিশ্ববিদ্যালয় ও একাধিক দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ থাকে। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি একাধিক দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাষা ও সাংস্কৃতির বিনিময় এবং সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি প্রোগ্রামে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যয়নকালে পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে নূ্যনতম দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে হয়।
আবেদনের প্রক্রিয়া
যে কোনো আবেদনকারী পছন্দসই সর্বাধিক তিনটি মাস্টার্স কোর্সে আবেদন করতে পারে, তবে পিএইচডি প্রোগ্রামে এ রকম বাধ্যবাধকতা নেই। প্রতিটি বিষয়ভিত্তিক প্রোগ্রামে আবেদন করার সময়সীমা ও আবেদন করার নূ্যনতম যোগ্যতাও ভিন্ন। অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় এবং এর জন্য কোনো প্রকার ফি প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড অথবা সংশ্নিষ্ট ঠিকানায় ই-মেইল করতে হয়। প্রতিটি কোর্সের ওয়েবপেজে আবেদন প্রক্রিয়া, নূ্যনতম যোগ্যতা, সময়সূচি ইত্যাদি তথ্য পাওয়া যাবে।
দ্রষ্টব্য এটি শুধুমাত্র প্রকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য যারা সত্যিই বিদেশ থেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। আবেদনকারীরা দৃঢ়ভাবে আমাদের অফিসে :
সরাসরি যোগাযোগ বা মৌলিক তথ্যের জন্য ফোন 01911878274 এ সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়। যদি আপনি আরও যেতে চান তবে পাসপোর্ট সহ আপনার সমস্ত অ্যাকাডেমিক নথির সাথে আমাদের অফিসে যান।
সানরাইজ এডুকেশন কন্সালটেন্টস
ফোন: 01911878২74; 01707272625
ইমেইল: info@sunrise-bd.net
ওয়েবসাইট: www.sunrise-bd.net
No comments:
Post a Comment