Breaking

Wednesday, November 21, 2018

ইউরোপে উচ্চশিক্ষা: এক নজরে জার্মানী.

ইউরোপে উচ্চশিক্ষা: এক নজরে জার্মানী.

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
একটা বিষয় সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মত ইউরোপের দেশগুলোতে পড়াশুনার পর আপনার পার্মানেন্ট হবার অনেক সম্ভবনা থাকে, থাকে আপনার প্রফেশন অনুযায়ী জব খুঁজে পাবার। কিন্তু জার্মানী সহ নন-ইংলিশ স্পিকিং দেশগুলুতে কিন্তু আপনি এ সুযোগ পাবেন না, পাবেন না আপনার প্রফেশন অনুযায়ী জব খুঁজে নিতে (কিছু বেতিক্রম ছাড়া)। আপনি মাস্টার্স করেন বা পিএইচডি করেন একমাত্র জব হল ক্লিনিং এবং হোটেলে নন প্রোফেসনাল জব। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোতে যারাই আছেন না কেন বছরের পর বছর, উনারা হয়তঃ কোন বিদেশী মেয়ে বিয়ে করে পার্মানেন্ট হয়েছে অথবা রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে এই সব দেশে পার্মানেন্ট হয়েছে। তবে ব্রিটেনে বিভিন্ন স্কিল ভিসা এবং ফ্যামিলি রিউনিফিকেশনের মাধ্যমে বহু বাংলাদেশীই এসেছে। ব্রিটেন ছাড়া ইউরোপের অন্যকোন দেশেই কখনোই গত ৩০/৪০ বছরে স্কিল ভিসার আদলে কোন ভিসা চালু ছিল না- যার মাধ্যমে কোন বাংলাদেশী ভাই বা বোন এ সব দেশে পার্মানেন্ট হয়েছে। আবারো বলছি কিছু বেতিক্রম আছে। হাজারে ৫-১০ জন কিন্তু স্কিল ভিসা বা জব ভিসা নিয়ে নন ইংলিশ স্পিকিং দেশগুলোতে এসেছে। তবে অতি সম্প্রতি ডেনমার্কে গ্রীন কার্ড ভিসা চালু করেছে- যার মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশী এসেছে- যাদের ৯৯% গত তিন বছরই নন-প্রোফেসনাল জব করছে। সুতরাং সাবধান! উচ্চ শিক্ষার জন্য আপনাদের প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত আমেরিকা, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া শুধু যারা উচ্চ শিক্ষার জন্যই আসতে চান, তাদের কথা ভিন্ন, পড়াশুনার শেষ করে আপনারা বাংলাদেশে চলে গেলে ভাল। তা না হলে অন্ততঃ কয়েক হাজার বাংলাদেশী ভাই বোনদের মত কয়েকটা মাস্টার্স করে এখানে ক্লিনিং করতে হবে।

এক নজরে জার্মানীঃ
ইউরোপের ৭ম বৃহত্তম দেশ জার্মানী যার অবাস্থান মধ্য ইউরোপে এবং এর সরকারী নাম ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র। জার্মানি ইউরোপের অন্যতম প্রধান শিল্পোন্নত দেশ এবং এটি ১৬টি রাজ্য নিয়ে গঠিত একটি ফেডারেল ইউনিয়ন। এটির উত্তর সীমান্তে উত্তর সাগর, ডেনমার্ক ও বাল্টিক সাগর, পূর্বে পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণে অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড এবং পশ্চিম সীমান্তে ফ্রান্স, লুক্সেমবুর্গ, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ড্স অবস্থিত। জার্মানির ইতিহাস জটিল এবং এর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ, তবে ১৮৭১ সালের আগে এটি কোন একক রাষ্ট্র ছিল না। ১৮১৫ থেকে ১৮৬৭ পর্যন্ত জার্মানি একটি কনফেডারেসি এবং ১৮০৬ সালের আগে এটি অনেকগুলি স্বতন্ত্র ও আলাদা রাজ্যের সমষ্টি ছিল।

জার্মানি বিশ্বের একটি প্রধান শিল্পোন্নত দেশ। এটির অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানের পরে বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম। জার্মানি লোহা, ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং মোটরগাড়ি রপ্তানি করে। জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।

প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে এ দেশে আসে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্যে। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের জন্য আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং জাপানের পর জার্মানী অন্যতম আকর্ষণীয় একটি দেশ- বিশেষত উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে। প্রযুক্তি বা টেকনোলজির দিক থেকে জার্মানী বিশ্ব কাতারের একেবারে সামনের আসনে আসীন। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোয় এ লেখার প্রধান উদ্দেশ্য। এত দেশ থাকতে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানী কেন? কোন শহরের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী পড়ানো হয়, কোথায় বৃত্তি পাওয়া যায়, ভিসা পেতে কী করতে হবে? ইত্যাদি নানা তথ্য নিয়ে সাজানো এ লেখাটি বিভিন্ন ওয়েভ সাইটের সাহায্য নিয়ে লেখা।

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা
প্রথমেই বলে রাখি আপনার মনে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত যত প্রশ্নই থাকুক না কেন শুধুমাত্র একটি হুমপেইজই আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে যথেস্ট।
কি কি পড়বেন জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে? বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার উপায় কী? কোর্স ফি ইত্যাদি হাজারো প্রশ্নের বিস্তারিত জবাব পাবেন  রয়েছে জার্মান উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য৷ জার্মানির দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অনেক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারবেন এই একটি মাত্র ওয়েবসাইটে৷

জার্মান ভাষা
নন ইংলিশ স্পিকিং দেশগুলোতে আমাদের জন্য ভাষা একটি প্রধান সমস্যা। সমস্যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে- এই যেমন শুরুতে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে, পড়াশুনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন জব পাওয়ার ক্ষেত্রে, আপনার প্রাতহিক জীবনে প্রতিটি স্টেপেই আপনি নানা সমস্যার মধ্যে পড়বেন এই নন ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রিতে। দরুন, আপনি একটি মোবাইল কিনতে যাবেন, দেখা গেল, দোকানদার আপনার কথাই বুঝে না। আবার দেখা গেল, আপনি যে শহরে আছেন তা দেখতে একটু ঘুরতে বের হলেন কিন্তু ঘর থেকে বের হয়ে যেন কিছুই চিনতে পারছেন না, একটু এগিয়ে গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করবেন? সেরেসে- এই লোকগুলো কেমন জানি যন্ত্রের মত, নিজের ঘর আর কাজ- এর বাইরে এরা কিছুই জানেনা!! সুতরাং বুঝতেই পারছেন, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য জার্মান ভাষা শেখা অত্যন্ত জরুরি৷ তবে আপনি যদি প্রথমে জার্মান ভাষা শিখেনতো ভাল, তাহলে আপনি জার্মান ভাষা কোর্স শেষ করে আপনার পছন্দের যে কোন বিষয়ে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন সহজেই।

এক নজরে জার্মানির উচ্চশিক্ষা- প্রতিষ্ঠানঃ 
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার প্রায় ৩০০ ইনস্টিটিউশন রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩৬টি অ্যাপ্লাইড বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিউজিক ও ফাইন আর্টবিষয়ক ৪৬টি কলেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১২ শতাংশ বিদেশী। বিদেশীদের মধ্যে আবার ৯ শতাংশই পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা জার্মানিতে শেষ করেছেন। গত ১৫ বছরে জার্মানিতে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে।

জার্মানিতে মূলত তিন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। প্রথমত, অ্যাপ্লায়েড বিশ্ববিদ্যালয় (Applied Science University)। যেখানে ছাত্রদের মূলত চাকরি অরিয়েন্টেড (ঔসদ ঙড়মপষয়পন) বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়। গবেষণামূলক কাজ এখানে হয় না বললেই চলে। দ্বিতীয়ত, টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Technical University), যেখানে প্রকৌশলসহ বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলো পড়ানো হয়। সাথে সাথে রয়েছে ব্যাপক গবেষণামূলক প্রকল্প। তৃতীয় ভাগে আছে নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলো মূলত ইউনি (UNI) হিসেবে পরিচিত। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্যসহ সব অনুষদই পড়ানো হয়। আকারে ইউনিগুলো বড় হয়ে থাকে।

অনেক ইংলিশ ভাষাভাষী দেশে ছাত্রবৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে (Self Finance) পিএইচডি করার সুযোগ থাকলেও জার্মানিসহ অনেক ইউরোপীয় দেশ এই নিয়মের ব্যতিক্রম। এখানে পিএইচডি পর্যায়ের সব ছাত্রই প্রায় চাকরির সমপরিমাণ বৃত্তি বা বেতন পেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব সুযোগ বিজ্ঞান বা প্রকৌশল বিষয়ের ছাত্রদের জন্যই বেশি।

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিষয় নির্ধারণের ব্যাপারে আপনাকে বুদ্ধিমান হতে হবে। সব বিষয়ে (Subject) ফান্ড পর্যাপ্ত নয়। বাংলাদেশ থেকে একজন ছাত্র যা ব্যবহারিক জ্ঞান নিয়ে আসে, তা জার্মানির মতো হাইটেক দেশের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের নতুন জিনিস জানা এবং শেখার স্পৃহা থাকতে হবে। ভালো বিষয়, ভালো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রবৃত্তির জন্য যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে ইন্টানেটে সার্চ করা এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। বুদ্ধিজীবী নামের কলঙ্ক, পার্শ্ববর্তী দেশের অর্থে পরিচালিত গণমাধ্যম আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে যখন ব্যর্থ রাষ্ট্র (Dysfunctional State) প্রমাণের জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে। তখন হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে একটি হাইটেক দেশে আমাদের দেশের অজপাড়াগাঁয়ের ছেলেরাই তাদের মেধার যথেষ্ট স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বিগত বছরগুলোতে যেসব ছাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছে তার প্রায় ৯৫ শতাংশ ছাত্রই সফলভাবে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে চাকরি, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরেট গবেষণা বা বিভিন্ন গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন। মজার ব্যাপার হলো সংখ্যায় কম হলেও বাংলাদেশী ছাত্ররা পার্শ্ববর্তী ভারত বা পাকিস্তানের ছাত্রদের তুলনায় বেশিগুণ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।

বর্তমানে প্রায় অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স চালু আছে। ধীরে ধীরে সব বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয়ে ইংরেজি মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাস্টার্স কোর্স চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদের দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে ব্যবহারিক জার্মান ভাষা শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কোর্সগুলোতে জার্মান ভাষার কোর্স বিনামূল্যে শেখানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খণ্ডকালীন ছাত্র চাকরি বা পিএইচডি গবেষণার জন্য জার্মান ভাষা তেমন একটা জরুরি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্টটাইম কাজের জন্য জার্মান ভাষা জানা জরুরি।

চাকরির ক্ষেত্রে জার্মান ভাষা জানা থাকলে বাড়তি সুবিধা এবং চাকরি পাওয়া সহজ হয়। জার্মানিতে অবস্থিত বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে জার্মান ভাষা জানা জরুরি নয়। এ ব্যাপারে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইনফিনিয়ান টেকনোলজি (Infineon Technology)-এর সহযোগী কোম্পানিতে সস্ত্রীক চাকরিরত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘জার্মানি ভাষা জানা থাকলে এখানে চাকরির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের ছাত্ররা জার্মানি এবং এর শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানে না। এখানে টিউশন ফি ছাড়া পড়াশোনা করা যায়, উপরন্তু স্কলারশিপের সুযোগও প্রচুর। আমার স্ত্রী জার্মানিতে এসে সিমেন্স কোম্পানির স্কলারশিপ অর্জন করে। এখানের সুযোগগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশী ছাত্রদের আরো বেশি জানা দরকার এবং মিডিয়াতে আসা দরকার।

জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হলো ইইউ ভিসা (EU Visa)। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা থাকলে আপনি সেই ভিসা ব্যবহার করে যেতে পারবেন অন্যান্য দেশেও। এ ক্ষেত্রে চাকরি, গবেষণা বা ভ্রমণের জন্য ইইউভুক্ত দেশগুলোকে এক দেশ হিসেবে ভাবতে পারেন। একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতি মাসে ৮৬ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পায়। ৫০-৬০ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ পেলেই মোটামুটি খরচ চালানো যায়। এ ছাড়া ছয় মাস অর্ধদিবস বা তিন মাস পূর্ণদিবস কাজের অনুমতি ছাত্র ভিসাতে দেয়া হয়। কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা (যেমন¬ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ওয়েবপেজ ডিজাইন বা অন্যান্য) থাকলে খণ্ডকালীন ছাত্র চাকরি বা পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি পেতে যথেষ্ট সহায়ক হয়।
এখানে একটা অভিজ্ঞতার কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশের ছাত্ররা ইন্টারনেটে সময় দিয়ে ধৈর্যের সাথে সার্চ করতে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। আপনাকে বুঝতে হবে, ইন্টারনেটই আপনার সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী। কোনো মিডিয়া সেন্টার নয়, সরাসরি আপনি নিজেই চেষ্টা করুন ভর্তির জন্য। প্রথমে সব ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটগুলোর তালিকা করুন, বিশেষ করে ইংলিশ ভার্সনগুলোর। এ ক্ষেত্রে google.com-এর সাহায্য নিন। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ধৈর্য সহকারে সার্চ করুন। যত বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে থহহলী করবেন, আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর জন্য তো আর অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে না। একই document শুধু কপি করে দিলেই হলো। ভারতীয় এক ছাত্রের প্রচেষ্টার কথা বলি, যিনি জার্মানির সব বিশ্ববিদ্যালয়ে থহহলী করে চান্স পেয়েছেন একটিতে। তার মেহনত সত্যিই অনুকরণীয়।

জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আসতে পারেন কয়েকভাবে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কেউ চাইলে তাকে জার্মান ভাষা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। খুব কমসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে ইংলিশ ভাষায় কোর্স চালু আছে। প্রথম চেষ্টা করতে পারেন ইংলিশ ভাষায় পড়ানো হয় এমন কোনো subject-এ ভর্তি হতে। তা না পেলে দু’ভাবে ব্যাচেলর কোর্সে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। প্রথমত, বাংলাদেশে জার্মান ভাষার কিছু প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য apply করুন। ভর্তি হতে পারলে এখানে এসে মূল কোর্স শুরুর আগে ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে জার্মান ভাষার বাকি কোর্স করে ফেলুন। অন্যভাবেও আসা যায়, আপনি সরাসরি বাংলাদেশ থেকে জার্মানির যেকোনো ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে apply করুন। ভর্তি হতে পারলে ভাষা শিক্ষার জন্য ভিসা পাবেন। এখানে এসে ভাষা শিক্ষা সমাপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার পছন্দের subject-এ ভর্তি হতে পারেন। তবে এই প্রক্রিয়া বেশ costly. মাস্টার্সে ভর্তির জন্য প্রথমে ডাড (daad.de)-এর ওয়েবসাইট থেকে কোনো কোনো ভার্সিটিতে আপনার সাবজেক্ট আছে তার তালিকা তৈরি করুন। আপনার যোগ্যতা (যেমন¬ রেজাল্ট, TOEFL/IELTS ইত্যাদি) পুরোপুরি খাপ না খেলেও নির্দ্বিধায় apply করুন।

পিএইচডি’র জন্য সরাসরি apply করতে পারেন। ভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাবজেক্ট সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির ইনস্টিটিউটগুলোর তালিকা তৈরি করুন। ইনস্টিটিউট প্রফেসরকে সরাসরি email করুন। জানতে চান পিএইচডি’র সুযোগ আছে কি না। যদিও জার্মান বা ইউরোপীয় মাস্টার্স ডিগ্রি না থাকলে সরাসরি পিএইচডিতে নিতে চান না। প্রফেসর যদি রাজি হন সে ক্ষেত্রে বুঝবেন তার পর্যাপ্ত ফান্ড আছে আপনার জন্য। আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশে অনেকের একটা ভুল ধারণা হচ্ছে, উচ্চশিক্ষা করতে হবে স্কলারশিপ নিয়ে, আর তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। পিএইচডি’র জন্য স্কলারশিপ জরুরি। আগেই বলেছি, ছাত্রাবস্থায় পার্টটাইম কাজ পাওয়ার জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কাজ জানা থাকা খুবই সহায়ক। এ ক্ষেত্রে দেশেই পরিচিত কারো কাছে অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা ওয়েবপেজ ডিজাইনিং ইত্যাদি কাজের প্রাথমিক ধারণা নিতে পারেন।

জার্মানির উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে তথ্য পাবেন কিভাবে? প্রথম কথা, আপনাকে ইন্টারনেটে লেগে থাকতে হবে। নিয়মিত ইন্টারনেটে বসা, সার্চ করা ও ব্যাপক যোগাযোগ অত্যাবশ্যক। ইন্টারনেটে আপনার পরিচিতি সার্কেল বাড়াতে হবে। জার্মানি ও এর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য, ছাত্রবৃত্তিসহ অন্যান্য তথ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোর মধ্যে জার্মান একাডেমিক একচেঞ্জ সার্ভিস (DAAD,  এখানে বিভিন্ন সাবজেক্টের তালিকা ও স্কলারশিপের তথ্য পাবেন। স্কলারশিপের জন্য জার্মান সায়েন্স ফাউন্ডেশন (DFG), জার্মান শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয় (BMBF) উল্লেখযোগ্য। এসব সংস্থার ওয়েবসাইটের সংশ্লিষ্ট ইংলিশ সংস্করণে আপনাকে ব্যাপক সার্চ করতে হবে।

দ্রষ্টব্য এটি শুধুমাত্র প্রকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য যারা সত্যিই বিদেশ থেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। আবেদনকারীরা দৃঢ়ভাবে আমাদের অফিসে :
 সরাসরি যোগাযোগ বা মৌলিক তথ্যের জন্য ফোন 01911878274 এ সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়। যদি আপনি আরও যেতে চান তবে পাসপোর্ট সহ আপনার সমস্ত অ্যাকাডেমিক নথির সাথে আমাদের অফিসে যান।

সানরাইজ এডুকেশন কন্সালটেন্টস
ফোন: 01911878২74; 01707272625
ইমেইল: info@sunrise-bd.net
ওয়েবসাইট: www.sunrise-bd.net

No comments:

Post a Comment